আদালতের নিষেধাক্কা বহাল থাকায় জিএম কাদেরের পরিবর্তে জাতীয় পার্টিতে রওশন এরশাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়া নিয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে দলের মহাসচিব ও মুখপাত্র দু’জন গণমাধ্যমে দুই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে জাতীয় পার্টির মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ কো-চেয়ারম্যানদের মতামত অনুসারে জাপার রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আইনি জটিলতা নিরসন হওয়া পর্যন্ত প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
মুখপাত্র যখন এমনটা বলছেন তখন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলছে অন্য কথা। তিনি বলেছেন, দলের কো-চেয়ারম্যানদের মধ্যে কোনো বৈঠক হয়নি। তাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে, বুধবার রাতে জাপার যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া গঠনতন্ত্র ধারা ২০ এর উপধারার পরিপন্থী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের গঠনতন্ত্রের ধারা ২০ এর উপধারা ২(খ) বিধান অনুযায়ী, চেয়ারম্যানের দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টিতে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কিংবা কো-চেয়ারম্যান পদে কেউ দায়িত্বে থাকলে তাকে অন্যথায় প্রেসিডিয়ামের একজন সদস্যকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করতে পারেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রেসিডিয়ামের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতেই দায়িত্ব পালন করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী পার্টির যেকোনো নিয়োগ, অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় কাউন্সিল শুধুমাত্র চেয়ারম্যানের ওপর অর্পণ করেছে। কো-চেয়ারম্যানসহ অন্য কেউ নিয়োগ বা অপসারণের ক্ষমতা রাখেন না।
বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।